রঘুনাথপুর, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

আর্টিকেল

  • পুরাতন সদস্য ভর্তি

পুরাতন সদস্য ভর্তি 

আসসালামু আলাইকুম। 

• বন্ধু একতা মানব কল্যাণ সংগঠন থেকে আপনাদের সকলকেই ধন্যবাদ।

 

• আমাদের সপ্নের ছোট সংগঠন এখন বড় আকারে রূপ নিয়েছে। আপনারা আপনাদের পরিশ্রমের সীমিত কিছু টাকা আমাদের কাছে বিনা সারতে সবাই মিলে জমা করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। 

• তাই আমাদের সংগঠনে এখন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প যোগ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ভিতরে সকল সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। 

• যেমন- ঋণ ক্যাটাগরি, DPS ক্যাটাগরি, সেভিংস একাউন্ট, এবং আপনার টাকার হিসাব রাখার জন্য ও আপনার টাকার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য হাই সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

 

ঋণ এর নিয়মাবলি

• এখন থেকে ৬ মাসের মেয়াদে প্রথম বারের জন্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।

• ঋণের স্কিম হচ্ছে- সাপ্তাহিক, অর্ধ মাসিক, মাসিক, এবং সিসি ঋণ দেওয়া হবে। সিসি ঋণ নিলে প্রতি মাসে লাভের টাকা দিয়ে যেতে হবে। এবং অন্যান্য ঋণ নিলে সাধারণ ঋণের কিস্তির মতই টাকা দিতে হবে।

 

DPS এর নিয়মাবলি 

• এতদিন আমাদের কাছে সঞ্চয় জমা রেখেছেন। কিন্তু কোন লাভ পান নাই। 

• তার সাথে সঞ্চয় এর সাথে অনেক টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।

• তাই আমাদের সমিতি-তে এখন ডিপিএস ক্যাটাগরি চালু করা হয়েছে। 

• এই ক্যাটাগরিতে জরিমানার হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

• বিস্তারিত সমিতির কর্তৃপক্ষদের কাছ থেকে জেনে নিবেন।

• এখন থেকে আপনারা সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে

৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিপিএস ক্যাটাগরিতে টাকা রখাতে পারবেন।

• ডিপিএস এর মেয়াদ- ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর।

• এই ডিপিএসে ৩ ভাবে টাকা রাখতে পারবেন। 

যেমন- সাপ্তাহিক, অর্ধ মাসিক, মাসিক। 

• আপনারা যেই ক্যাটাগরিতে ভর্তি হবেন, সেটা সমিতির কর্তৃপক্ষকে জানালে আরো বিস্তারিত সব কিছু বুজিয়ে দিবে।

 

সেভিংস একাউন্টের নিয়ম 

• এখন থেকে অন্যান্য ব্যাংকের মতো আমাদের সংগঠনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে যত খুশি টাকা রেখে, আবার আপনার প্রয়োজনের সময় টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।

 

টাকার নিরাপত্তা 

• আপনাদের টাকার সকল দায়িত্ব আমাদের কাছে থাকবে। 

• আমাদের সংগঠনে ৩০ জন নয় ৩০ হাজার সদস্য থাকলেও আমারা খুব সহজেই হিসাব রাখতে পারবো।

• তাই হিসাব রাখার চিন্তা আপনাদের করার দরকার আমরা মনে করিনা। আপনার টাকা আপনি নিজেই কি ভাবে নিরাপদে রাখবেন, সেটা সমিতির কর্তৃপক্ষদের কাছ থেকে জেনে নিবেন।

• আপনার একাউন্টে টাকা রাখার সাথে সাথে আপনার মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। সেই এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার সকল টাকার হিসাব পেয়ে যাবেন।

 

সর্ব সেস কথা

• এই সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে সমিতিতে থাকতে চাইলে পুরাতন সদস্যদের আবার নতুন করে ভর্তি হতে হবে। 

 

ভর্তির জন্য যা যা প্রোয়জন 

• সদস্যের NID কার্ড এর ফটোকপি এবং রঙিন ছবি।

• নমিনির NID কার্ড বা নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি এবং রঙিন ছবি।

• উল্লেখযোগ্য ফটোকপি যদি না থাকে তাহলে আসল NID কার্ড নিয়ে সদস্য ও নমিনি কে উপস্থিত থাকতে হবে।

 

ভর্তি ফি

• ভর্তি হওয়ার সময় পুরাতন সদস্যদের ১৫০ টাকা এবং নতুন সদস্যদের ২০০ টাকা ভর্তি ফি দিতে হবে। 

• যদি কোন সদস্য ভর্তি না হয়ে সমিতি  থেকে চলে যেতে চায়, তাহলে তার জমানো সকল টাকা সমিতির কর্তৃপক্ষ দিয়ে দিবে।

এবং তার সকল তথ্য চিরদিনের জন্য ডিলেট করে দেওয়া হবে।

• অন্যথায় যারা ভর্তি হবে তাদের সকল তথ্য চিরদিনের জন্য সেভ করে রাখা হবে। এবং সে সমিতি থেকে চলে গেলেও তার সকল হিসাব আমাদের কাছে থাকবে।

  • ঋণ ক্যাটাগরির কাজ চলতেছে

ঋণ নেওয়ার নিয়মাবলী

•বন্ধু একতা মানব কল্যান সংগঠন এর যেকোন ঋণ নিতে চাইলে সদস‍্যকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। ১৮ বছরের নিচে কোন সদস্য ঋণ নিতে চাইলে অভিভাবকের অনুমতি ক্রমে ঋণ নিতে পারবে।

 

ঋণ নেওয়ার জন্য যা যা করতে হবে

• বন্ধু একতা মানব কল্যাণ সংগঠন থেকে ঋণ নিতে চাইলে সমিতির কর্তৃপক্ষকে ৩ দিন আগে বলতে হবে।

• যেকোনো ক্যাটাগরির ঋণ নিতে চাইলে স্কিম অনুযায়ী স্টেম ফি দিয়ে স্টেম এ সাক্ষর করতে হবে।

• এবং প্রতি কিস্তি সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে না পারলে ঋণ ক্যাটাগরির স্কিম অনুযায়ী জরিমানা দিতে হবে

 

                   (৬ মাসিক) সকল ঋণ ক্যাটাগরি 

• নিচের টেবিলে যে ভাবে কিস্তি উল্লেখ করা আছে, এই নিয়মে প্রতি কিস্তি দিয়ে গেলে আপনার জরিমানার আশঙ্কা কম থাকবে।

এবং আপনার ঋণের টাকা মেয়াদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সেস হবে।

• আপনি যদি প্রতি কিস্তির তারিখ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে ঋণের স্কিম অনুযায়ী জরিমানা বাধ্যতামূলক দিতে হবে। 

আপনি চাইলে এক কিস্তির টাকা অগ্রিম দিয়ে রাখতে পারেন।

এতে আপনার জরিমানা আশঙ্কা কম থাকবে।

 

(সাপ্তাহিক) ঋণ ক্যাটাগরি 

সাপ্তাহিক কিস্তির মেয়াদ (৬ মাস) 

৬ মাসে (কিস্তি আসবে ২৬ টি)

নিচের টেবিলে যে ভাবে কিস্তি উল্লেখ করা আছে, এই ভাবে কিস্তি দিয়ে গেলে ২৬ কিস্তির আগেই সেস হবে।

পরিমাণ কমিশন মোট কিস্তি ফি জরিমানা
১০০০৳ ১০০৳ ১১০০৳ ৫০৳ ২০৳ ১০৳
২০০০৳ ২০০৳ ২২০০৳ ১০০৳ ৪০৳ ২০৳
৩০০০৳ ৩০০৳ ৩৩০০৳ ১৫০৳ ৬০৳ ৩০৳
৪০০০৳ ৪০০৳ ৪৪০০৳ ২০০৳ ৮০৳ ৪০৳
৫০০০৳ ৫০০৳ ৫৫০০৳ ২৫০৳ ১০০৳ ৫০৳

 

(অর্ধ মাসিক) ঋণ ক্যাটাগরি

অর্ধ মাসিক কিস্তির মেয়াদ (৬ মাস)

৬ মাসে (কিস্তি আসেবে ১২ টি)

নিচের টেবিলে যে ভাবে কিস্তি উল্লেখ করা আছে, এই ভাবে কিস্তি দিয়ে গেলে ১২ কিস্তির আগেই সেস হবে।

পরিমাণ কমিশন মোট কিস্তি ফি জরিমানা
১০০০৳ ১৫০৳ ১১৫০৳ ১০০৳ ২০৳ ১০৳
২০০০৳ ৩০০৳ ২৩০০৳ ২০০৳ ২০৳ ২০৳
৩০০০৳ ৪৫০৳ ৩৪৫০৳ ৩০০৳ ৬০৳ ৩০৳
৪০০০৳ ৬০০৳ ৪৬০০৳ ৪০০৳ ৮০৳ ৪০৳
৫০০০৳ ৭৫০৳ ৫৭৫০৳ ৫০০৳ ১০০৳ ৫০৳

 

মাসিক ঋণ ক্যাটাগরি

মাসিক কিস্তির মেয়াদ (৬ মাস)

নিচের টেবিলে যে ভাবে কিস্তি উল্লেখ করা আছে, এই ভাবে কিস্তি দিয়ে গেলে ৬ কিস্তির আগেই সেস হবে।

পরিমাণ কমিশন মোট কিস্তি ফি জরিমানা
১০০০৳ ২০০৳ ১২০০৳ ২০০৳ ২০৳ ১০৳
২০০০৳ ৪০০৳ ২৪০০৳ ৪০০৳ ৪০৳ ২০৳
৩০০০৳ ৬০০৳ ৩৬০০৳ ৬০০৳ ৬০৳ ৩০৳
৪০০০৳ ৮০০৳ ৪৮০০৳ ৮০০৳ ৮০৳ ৪০৳
৫০০০৳ ১০০০৳ ৬০০০৳ ১০০০৳ ১০০৳ ৫০৳

মাসিক সুদি ঋণ ক্যাটাগরি

মাসিক সুদি ঋণের মেয়াদ (৬ মাস)

নিচের টেবিলে মুনাফার স্কিম দেওয়া দেওয়া আছে।

আপনি যদি টাকা নেওয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত আসল টাকা না দেন, তাহলে প্রতি মাসে স্কিম অনুযায়ী মুনাফা দিয়ে যেতে হবে।

আপনার মেয়াদ সেস পরে অবশ্যই আসল টাকা দিয়ে দিতে হবে।

পরিমাণ মাসিক মুনাফা স্টেম ফি জরিমানা
১০০০৳ ৫০৳ ৬০৳ ১০৳
২০০০৳ ১০০৳ ৭০৳ ২০৳
৩০০০৳ ১৫০৳ ৮০৳ ৩০৳
৪০০০৳ ২০০৳ ৯০৳ ৪০৳
৫০০০৳ ২৫০৳ ১০০৳ ৫০৳

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

  • টাকা জমানোর চমৎকার কিছু কৌশল

প্রতিদিনের খুচরা টাকাগুলো জমিয়ে রাখতে পারলেই মাস শেষে বড় একটা অংকের টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি। স্বল্প আয়, তবুও সেখান থেকে কত টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছেন আপনি! হিসেবের খাতায় যদি শুধু শূন্যের অবস্থা বিরাজ করে তবে ঠিক এই মুহূর্ত থেকেই সচেতন হতে হবে আপনাকে।
কারণ শুধুমাত্র আয় করাই যথেষ্ট নয়, আপনার ব্যয়ের হিসেবটাও ঠিক রাখতে হবে এবং সাথে সঞ্চয়ের ঝুলিও করতে হবে ভারী। টাকা জমানোর বা সঞ্চয় করার তেমন অভিজ্ঞতা নেই বলে হিমশিম খাচ্ছেন এই ভেবে যে, কীভাবে টাকা জমানো শুরু করবেন?
কোন চিন্তাই নেই! খুবই সহজ কিছু উপায় মেনে চলতে পারলে এবং বাজেট করতে শিখে গেলে টাকা জমানো কোন কঠিন ব্যাপার নয়।
জেনে নিন টাকা জমানোর খুবই চমৎকার এবং অসাধারণ কয়েকটি উপায়।
১/ নিজের ব্যয়ের একটি বাজেট তৈরি করুন: কীভাবে আপনার ব্যয়ের বাজেট তৈরি করবেন বলে ভাবছেন? যে মাস থেকে বাজেট শুরু করতে চাচ্ছেন সে মাসের শুরুতেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার রিসিটটি রেখে দিন। শুধু প্রথম দিনেরটাই নয়, পুরো মাসেরটা এইভাবে একসাথে জমিয়ে ফেলুন।
রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, জামা কিনতে গেলে, দরকারি জিনিস কিনতে গেলে- সব জায়গার রিসিট জমিয়ে রেখে মাস শেষে সেগুলো নিয়ে বসুন। এরপর আপনি নিজেই পরিষ্কারভাবে বুঝতে এবং মেলাতে পারবেন আপনার টাকা কোন খাতে কম বা বেশি খরচ হচ্ছে। সেই হিসাব করে পরের মাসের জন্য বাজেট ঠিক করে ফেলুন।
২/ আলাদা খামে খরচের টাকা গুছিয়ে রাখুন: আপনার খরচের হাত খুব যদি বেশী হয় তবে সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কাজে দেবে। প্রতি মাসের শুরুতেই আলাদা খামে খরচ করার জন্যে টাকা গুছিয়ে তুলে রাখুন।
প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন খাতের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খামে টাকা রাখুন, যেমন- দরকারি জিনিসপত্র কেনার জন্য আলাদা খাম, নিজের প্রিয় কিছু কেনার জন্য আলাদা খাম, বই কেনার জন্য আলাদা খাম! কোন খামের টাকা শেষ হয়ে গেলে সেই মাসের জন্য সেটাই আপনার বাজেট। এর বাইরে আর আপনি খরচ করতে পারবেন না।
৩/ টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো পরিকল্পনা করুন: টাকা জমানোর অভ্যাসটা খুব ছোটখাটো ভাবে শুরু করতে পারেন আপনি। মাসের প্রথমেই আপনার আয়ের একটা ছোট অংশ আলাদা করে রাখুন জমানোর জন্যে।
এরপর প্রতিদিনের খরচ থেকে পঞ্চাশ-একশ-দুইশ টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করুন এবং একটা পুরো সপ্তাহ শেষে কত টাকা বাঁচল সেটার হিসেব রাখুন। সেটার উপর ভিত্তি করে পরবর্তি সপ্তাহের জন্য টাকা বাঁচানোর পরিকল্পনা করুন।
৪/ বোনাসের সম্পূর্ণ টাকা খরচ করবেন না: প্রতিটা অফিসেই বিভিন্ন উপলক্ষ্য এবং পারফর্মেন্স-এর উপরে বোনাস দিয়ে থাকে। বোনাস এর টাকা হাতে পেয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই খুশি হয়ে সকল টাকা একবারেই খরচ করে ফেলবেন না। বোনাসের কিছু টাকা আলাদা করে জমানোর জন্যে রেখে দিন। ভবিষ্যৎ এ কাজে আসবে।
৫/ খুচরা টাকাগুলো আলাদা করে রাখুন: বিকেলে বাইরে বের হলেই চা, কেক বিস্কুট কিংবা পুরি খেয়ে টাকা দেওয়ার পরেই একগাদা খুচরা টাকা হাতে চলে আসে। বাসে কিংবা রিকশাতে যাতায়াতের সময়েও এমন বহু খুচরা টাকা জমে যায় হাতে।

ধন্যবাদ 

সদস্য লগইন

সর্বশেষ আর্টিকেল